ভূমি জরিপ, দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রশন সংক্রান্ত আইন |
রেজিষ্ট্রেশন আইন
[১৯০৮ সালের ১৬নং আইন]
খন্ড ১
প্রাথমিক বিষয়
ধারা-১ ( সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, কার্যকারিতার সীমা ও প্রবর্তন )
(১) এই আইন ১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইন নামে অভিহিত হইবে ।
(২) যে সমস্ত জেলা এবং এলাকা সরকার কতৃর্ক আওতাবর্হির্ভূত বলিয়া ঘোষিত হইবে উহা ব্যতীত সারাদেশে এই আইন প্রযোজ্য হইবে ।
(৩) ১৯০৯ সালের ১লা জানুযারী হইতে এই আইন বলবত্ হইবে ।
ধারা-২ (সংজ্ঞাসমূহ)
উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তুর দিক হইতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে নিম্নলিখিত শব্দগুলির অর্থ নিম্নরূপ হইবে :
উপধারা-(১) 'সংযোজন' অর্থ বর্ণিত ব্যক্তির বাসস্থান, পেশা, ব্যবসায়, পদ এবং উপাধি (যদি থাকে) এবং তাহার পিতার নাম অথবা যেখানে মায়ের নামে পরিচিত সেখানে মায়ের নাম ;
উপধারা-(২) 'বহি' অর্থ কোনো বহির অংশ বা কতকগুলি পৃষ্ঠা যাহা একখানি বহি বা বহির অংশ বলিয়া গণ্য হইবে ;
উপধারা-(৩)'জেলা' এবং 'উপজেলা' বলিতে এই আইন অনুযায়ী গঠিত জেলা ও উপজেলা বুঝাইবে ;
উপধারা-(৪)'জেলা কোর্ট' বলিতে হাইকোর্টের সাধারণ আদিম দেওয়ানী এখতিয়ার উহার অন্তর্ভূক্ত বুঝাইবে ।
উপধারা-(৫)'পৃষ্ঠাঙ্কন' এবং 'পৃষ্ঠাঙ্কিত' অর্থ এই আইন অনুসারের রেজিস্ট্রি করিবার জন্য দাখিলকৃত কোনো দলিলের উপপত্র বা আবরণ-পত্রের উপর রেজিস্ট্রিকারী অফিসার কতৃর্ক লিখিত বিষয় ;
উপধারা-(৬)'স্থাবর সম্পত্তি' অর্থে জমি, ঘরবাড়ি, বংশগত বৃত্তি, রাস্তা, আলো, খেয়াঘাট ব্যবহার, মত্স্য উত্পন্ন করিবার কিংবা জমি হইতে লভ্য অপরাপর সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিবার অধিকার এবং মাটিসংলগ্ন কোনো জিনিসের সহিত স্থায়ীভাবে আবদ্ধ কোনো বস্তু বুঝাইবে ; কিন্তু-
(ক) মাটিতে দণ্ডায়মান বৃক্ষ, উত্পন্ন ফসল বা ঘাস, তাহা অবিলম্বে কাটিবার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক ;
(খ) বর্তমান বিদ্যমান অথবা ভবিষ্যতে হইবার সম্ভাব্য ফল বা রস ;
(গ) মাটিতে প্রোথিত বা সংযুক্ত যাহা জমি হইতে ভিন্নরূপ বিবেচিত হয় তাহা বুঝাইবে না ;
উপধারা-(৭) 'ইজারা' অর্থে 'মুড়ি' কবুলিয়ত, চাষ-আবাদ বা দখল লইবার স্বীকৃতি এবং ইজারা লইবার চুক্তি বুঝাইবে ;
উপধারা-(৮) 'নাবালক' অর্থ যেই ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিকগত আইনে সাবালকত্ব প্রাপ্ত হয় নাই ;
উপধারা-(৯)'অস্থাবর সম্পত্তি' অর্থ স্থাবর সম্পত্তি ছাড়া অন্যান্য সকল প্রকারের সম্পত্তি ; এবং
উপধারা-(১০) 'প্রতিনিধি' অর্থ নাবালকের অভিভাবক এবং উন্মাদ বা আহাম্মক ব্যক্তির জন্য আইনানুসারে নিযুক্ত অভিভাবক ।
দ্বিতীয় খণ্ড
রেজিষ্ট্রেশন সংগঠন সম্পর্কিত
ধারা-৩ (রেজিস্ট্রেশনের ইন্সপেক্টর জেনারেল)
উপধারা-(১) সরকার উহার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহের জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল নামক একজন অফিসার নিয়োগ করিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার ইন্সপেক্টর জেনারেলের পরিবর্তে অন্য অফিসারকে নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলের উপর অর্পিত ক্ষমতা এবং দায়িত্বসমূহের সবগুলি বা যে কোনো একটি উক্ত অফিসার দ্বারা সম্পাদন করাইতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) একই সংগে ইন্সপেক্টর জেনারেল সরকারের অধীনস্থ অন্য কোনো পদের কার্যাবলীও সম্পাদন করিতে পারেন ।
ধারা-৪ (বাতিল)
ধারা-৫ (জিলা এবং উপজিলা)
উপধারা-(১) সরকার এই আইনের উদ্দেশ্যে জিলা এবং উপজিলা গঠন করিবেন এবং উহাদের এলাকা নির্ধারণ এবং পরিবর্তন করিতে পারিবেন ।
উপধারা-(২) এই ধারা অনুসারে গঠিত জিলা এবং উপজিলাসমূহের গঠন, এলাকা নির্ধারণ এবং পরিবর্তন সরকারি গেজেটে বিজ্ঞাপিত হইতে হইবে ।
উপধারা-(৩) এইরূপ প্রত্যেক পরিবর্তন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত দিন হইতে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-৬ (রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার)
সরকার উপযুক্ত মনে করিলে সরকারি অফিসার বা অন্য যে-কোনো ব্যক্তিকে যথাক্রমে পূর্বে উল্লিখিত উপায়ে গঠিত জিলাসমূহের জন্য রেজিস্ট্রার এবং উপজিলাসমূহের জন্য সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ করিতে পারিবেন ।
ধারা-৭ (রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস)
উপধারা-(১) সরকার প্রত্যেক জিলায় রেজিস্ট্রারের অফিস নামে এবং উপজিলার সাব-রেজিস্ট্রারের বা যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস নামে অফিসসমূহ স্থাপন করিবেন ।
উপধারা-(২) সরকার ইচ্ছা করিলে বা প্রয়োজন মনে করিলে যে-কোনো রেজিস্ট্রারের অফিসের সহিত উক্ত রেজিস্ট্রারের অধীনস্থ যে-কোনো সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসকে সংযুক্ত করিতে পারেন এবং সাব-রেজিস্ট্রারকে তাহার নিজস্ব ক্ষমতা ও কর্তব্যসমূহ ছাড়াও উক্ত রেজিস্ট্রারের ক্ষমতা ও দায়িত্বসমুহের সবগুলি অথবা যে-কোনো একটি প্রয়োগ ও পালন করিবার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেন ।
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ক্ষমতা প্রদান কোনো সাব-রেজিস্ট্রারকে তাঁহার নিজের কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আনীত কোনো আবেদন শুনিবার অধিকার প্রদান করিবে না ।
ধারা-৮ (রেজিস্ট্রেশন অফিসসমূহের ইন্সপেক্টরগণ)
উপধারা-(১) সরকার 'ইন্সপেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন অফিস' নামক অফিসারবর্গ ও নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং উক্ত অফিসারদের কর্তব্যাবলীও নির্ধারিত করিবেন ।
উপধারা-(২) ঐরূপ প্রত্যেক ইন্সপেক্টর জেনারেলের অধীনস্থ রহিবেন ।
ধারা-৯ (বাতিল)
ধারা-১০ (রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতি অথবা পদ শূন্য থাকিলে )
উপধারা-(১) যখন কোনো রেজিস্ট্রার তাঁহার নিজ জিলায় কর্মরত অবস্থা ছাড়া অন্য কোনো কারণে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন বা তাঁহার পদ সাময়িকভাবে খালি থাকে, তখন ইন্সপেক্টর জেনারেল যেই ব্যক্তিকে উক্ত স্থানে নিয়োগ করিবেন অথবা উক্ত নিয়োগ অভাবে সেই জিলা জজ, যাঁহার আওতাধীনে উক্ত রেজিস্ট্রারের অফিস অবস্থিত, উক্ত অনুপস্থিতকালে বা যতদিন সরকার খালি আসন পূরণ না করেন, ততদিন রেজিস্ট্রার হিসাবে গণ্য হইবেন ।
উপধারা-(২) বাতিল ।
ধারা-১১ (রেজিস্ট্রারের নিজ জিলায় কর্মরত থাকাকালে অফিসে অনুপস্থিত)
যখন কোনো রেজিস্ট্রার তাঁহার নিজ জিলায় কর্মরত থাকিবার সময় অফিসে অনুপস্থিত থাকেন, তখন তিনি ৬৮ এবং ৭২ ধারায় উল্লিখিত কর্তব্যাবলী ব্যতীত তাঁহার জিলায় অপরাপর কার্যসমূহ সম্পাদনার্থে কোনো সাব-রেজিস্ট্রার বা অন্য যে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারেন ।
ধারা-১২ (সাব-রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতি অথবা পদ শূন্য থাকিলে)
যখন কোনো সাব-রেজিস্ট্রার তাঁহার অফিসে অনুপস্থিত থাকেন বা তাঁহার পদ সাময়িকভাবে খালি হয়, তখন উক্ত অনুপস্থিতকালে যতদিন পর্যন্ত খালি পদ পূরণ না হয়, ততদিনের জন্য জিলার রেজিস্ট্রার কতৃর্ক ঐ স্থলে নিযুক্ত যে-কোনো ব্যক্তি সাব-রেজিস্ট্রার হিসাবে গণ্য হইবেন ।
ধারা-১৩ (১০, ১১ ও ১২ ধারা অনুযায়ী নিয়োগ সম্পর্কে সরকারের নিকট রিপোর্ট)
উপধারা-(১) ইন্সপেক্টর জেনারেল কতৃর্ক ১০, ১১ ও ১২ ধারা মোতাবেক সমস্ত নিয়োগের বিষয় সরকারের নিকট রিপোর্ট করিতে হইবে ।
উপধারা-(২) অনুরূপ রিপোর্ট সরকারের নির্দেশক্রমে বিশেষ বা সাধারণ রিপোর্ট বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
উপধারা-(৩) (বাতিল) ।
ধারা-১৪ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের সংস্থাপন)
উপধারা-(১) (বাতিল) ।
উপধারা-(২) সরকার এই আইন মোতাবেক বিভিন্ন অফিস সঠিকভাবে স্থাপনের অনুমতি দান করিবেন।
ধারা-১৫ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের সীলমোহর)
রেজিস্ট্রার এবং সাব-রেজিস্ট্রারগণ ইংরেজি ভাষায় বা সরকারের নির্দেশক্রমে অন্য যে-কোনো ভাষায় নিম্নলিখিত শব্দ সম্বলিত সীলমোহর ব্যবহার করিবেন ।''......... রেজিস্ট্রারের (বা সাব-রেজিস্ট্রারের) সীল ।''
ধারা-১৬ (রেজিস্ট্রার বহি ও অগ্নিরোধক বাক্স)
উপধারা-(১) এই আইনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রত্যেক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের অফিসে প্রয়োজনীয় বহি সরবরাহ করিবেন ।
উপধারা-(২) সরবরাহকৃত খাতাপত্রে সরকারের অনুমোদনক্রমে ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্তৃক নির্ধারিত ফরম থাকিবে ও উক্ত খাতাপত্রের পৃষ্ঠা ছাপানো ক্রমিক নম্বর সম্বলিত হইবে এবং প্রত্যেক খাতাপত্রের পৃষ্ঠার সংখ্যা সম্পর্কে উহার শিরোনাম পৃষ্ঠার প্রদানকারী অফিসার কতৃর্ক সার্র্টিফিকেট দিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) সরকার প্রত্যেক রেজিস্ট্রারের অফিসে অগ্নিরোধক বাক্স সরবরাহ করিবেন এবং প্রত্যেক জিলায় দলিল রেজিস্ট্রিকরণ সম্পর্কিত রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করিবেন ।
তৃতীয় খণ্ড
রেজিস্ট্রেশনযোগ্য দলিল পত্রাদি সম্পর্কিত
ধারা-১৭ (যে সমস্ত দলিলপত্রের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক)
উপধারা-(১) নিম্নলিখিত দলিলপত্রাদি রেজিস্ট্রি করিতে হইবে; যদি উহা ঐ জিলায় অবস্থিত সম্পত্তি সম্পর্কে সম্পাদিত হয় এবং যদি উহা ১৮৬৪ সালের ১৬ নং আইন অথবা ১৮৬৬ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অথবা ১৮৭১ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অথবা ১৮৭৭ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকরী হইবার দিনে বা উহার পরে সম্পাদিত হয় ।
(ক) স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র ।
(কক) মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী প্রদত্ত হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(খ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে বর্তমান বা ভবিষ্যতে কায়েমী বা সম্ভাব্য কোনো অধিকার স্বত্ব বা সুযোগ-সুবিধা জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে ।
ব্যাখ্যা : কোনো বন্ধকী দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তর দলিল সম্পাদিত হয়, রেজিস্ট্রেশনের জন্য উহাই মুল্য বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
(গ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোনো অধিকার, স্বত্ব বা সুযোগ-সুবিধা জন্মানোর ঘোষণা, অর্পণ, সীমাবদ্ধকরণ বা নিঃশেষিত হইবার প্রতি বিনিময়মূল্য স্বরূপ কোনো কিছুর প্রাপ্তি বা প্রদান স্বীকার ।
(গগ) সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ধারা ৫৯ অনুযায়ী বন্ধকী দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(ঘ) স্থাবর সম্পত্তির বত্সরান্তের অথবা এক বত্সরের ঊর্ধ্বে কোনো মেয়াদী ইজারা বা বাত্সরিক খাজনার শর্তে ইজারার দলিল ।
(ঙ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোর্টের ডিক্রি বা হুকুমনামা অথবা কোনো বিচার নিষ্পত্তির হস্তান্তর বা অর্পণ করে এবং যখন ঐরূপ ডিক্রি, হুকুমনামা বা বিচার নিষ্পত্তিতে কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে বর্তমান বা ভবিষ্যত কায়েমী বা সম্ভাব্য কোনো অধিকার, স্বত্ব সুযোগ সুবিধা জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে ।
তবে কোনো জিলা বা জিলার অংশে সম্পাদিত কোনো ইজারাকে যদি উক্ত ইজারার মেয়াদ ৫ বত্সরের উর্ধ্বে না হয় বা উহার বাত্সরিক খাজনা ৫০ টাকার বেশি না হয় তবে সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়া এই উপধারা আওতামুক্ত করিতে পারেন ।
(চ) স্ব-স্ব ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইন অনুযায়ী প্রাপ্য ওয়ারিশী স্থাবর সম্পত্তি বন্টন বিষয়ক দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(ছ) রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ধারা ৯৬ অনুযায়ী আদালতের আদেশ মোতাবেক বিক্রয় দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
উপধারা-(২) (১) উপধারা খ এবং গ দফার কোনো কিছু নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে ব্যবহৃত হইবে না ।
(১) কোনো প্রকারের সোলেনামা; অথবা
(২) জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর শেয়ার সংক্রান্ত কোনো দলিল, যদিও উক্ত কোম্পানির সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাগ স্থাবর সম্পত্তি হয়; অথবা
(৩) উপরোক্ত কোম্পানির ইস্যুকৃত কোনো ডিবেঞ্চার, যাহা কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে কোনো প্রকারে অধিকার স্বত্ব, সুযোগ-সুবিধা জন্মায় না, ঘোষণা করে না, অর্পণ, সীমাবদ্ধ করে না বা নিঃশেষিত করে না; তবে যতদুর পর্যন্ত সিকিউরিটি হোল্ডার কোনো রেজিস্ট্রিকৃত দলিল দ্বারা উপরোক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদত্ত হয়, যেই দলিলে উক্ত কোম্পানি উহার স্থাবর সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক অথবা উক্ত সম্পত্তিতে কোনো প্রকারে স্বার্থ ডিবেঞ্চার হোল্ডারের সুবিধার্থে ট্রাস্ট মারফত ট্রাস্ট্রীয়দের নিকট বন্ধক দেয়, সমর্পণ করে বা অন্য কোনো প্রকারের হস্তান্তর করে; অথবা
(৪) কোনো কোম্পানির ইস্যুকৃত কোনো ডিবেঞ্চার পৃষ্ঠাংকন করা বা অন্যের নিকট হস্তান্তর করা; অথবা
(৫) কোনো দলিল যাহাতে ১০০ টাকা বা উহার অধিক মূল্যের কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে কোনো প্রকারের অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ জন্মায় না, ঘোষণা করে না, অর্পণ করে না, সীমাবদ্ধ করে না বা নিঃশেষিত করে না কিন্তু মাত্র যদি অপর কোনো দলিল প্রাপ্তির অধিকারে জন্মায়, যাহার সম্পাদনের কোনো প্রকার অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে; অথবা
(৬) কোর্টের কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামা যাহাতে মোকদ্দমার বিষয়বস্তু ছাড়া অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো প্রকার সোলেনামা সম্পাদিত হয় বা হইবে বলিয়া প্রকাশিত হয়, ঐ ডিক্রি বা হুকুমনামা ছাড়া; অথবা
(৭) সরকার কতৃর্ক মঞ্জুরকৃত কোনো স্থাবর সম্পত্তি; অথবা
(৮) রেভিনিউ অফিসারকৃত কোনো বাটোয়ারা দলিল; অথবা
(৯) ১৮৭১ সনের ল্যান্ড ইমপ্রুফমেন্ট আইন বা ১৮৮৩ সনের ল্যান্ড ইমপ্রুফমেন্ট ঋণ বা আইন অনুসারে প্রদত্ত ঋণের কোনো হুকুমনামা বা আনুসংগিক সিকিউরিটি দলিল পত্রাদি; অথবা
(১০) ১৮৮৪ সনের কৃষি ঋণ আইনবলে প্রদত্ত ঋণের কোনো হুকুমনামা বা উক্ত আইনবলে প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের জামিনস্বরূপ কোনো দলিলপত্রাদি; অথবা
(১১) বন্ধকী দলিলের পৃষ্ঠে বন্ধকী টাকার সম্পূর্ণ বা আংশিক টাকা পাইয়া উসুল লেখা বা বন্ধক সম্পর্কিত প্রাপ্য টাকার উসুল দেওয়া কোনো রসিদ, যদি ঐ রসিদ দ্বারা বন্ধক সমাপ্তি না বুঝায়; অথবা
(১২) সিভিল বা রেভিনিউ অফিসার কতৃর্ক প্রকাশ্য নিলামে বিক্রীত সম্পত্তির খরিদ্দারের দেওয়া কোনো বায়নানামা ।
(১৩) যেই ক্ষেত্রে কোনো ইজারা দলিল রেজিস্ট্রি হইয়াছে সেক্ষেত্রে উহার প্রতিলিপিও রেজিস্ট্রি করিতে হইবে ।
ব্যাখ্যা : (বাতিল) ২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা বিলুপ্ত ।
উপধারা-(৩) ১৮৮২ সালের ১লা জানুয়ারির পরে সম্পাদিত এবং উহার দ্বারা প্রদত্ত নয়৷ এইরূপ পোষ্যপূত্র গ্রহণ করিবার ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রেশনযোগ্য হইবে ।
ধারা ১৭ (ক) (বিক্রয় চুক্তি (বায়নানামা) ইত্যাদি রেজিস্ট্রিকরণ বিষয়ক)
(১) এই আইনে অথবা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহাই থাকুক না কেন কোনো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য চুক্তি (বায়না) পত্র অবশ্যই লিখিত, পক্ষগণের দ্বারা সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।
(২) উপধারা (১) অনুযায়ী সম্পাদিত চুক্তি (বায়না) পত্র সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করিতে হইবে এবং দলিল রেজিস্ট্রির যাবতীয় বিধানাবলী এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
ধারা ১৭ (খ) ( ক ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে সম্পাদিত কিন্তু অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তিপত্র (বায়নানামা) সম্পর্কিত বিধানাবলী )
উপধারা-(১) যে ক্ষেত্রে ১৭ (ক) ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে কোনো চুক্তিপত্র (বায়নানামা) সম্পাদিত হইয়াছে কিন্তু রেজিস্ট্রি হয় নাই-
(ক) যেই ক্ষেত্রে উল্লিখিত ধারা কার্যকর হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে পক্ষগণ-
(i) চুক্তিপত্র (বায়না) আওতাধীন স্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপন করিবেন, অথবা
(ii) সম্পাদিত চুক্তিপত্র (বায়নানামা) রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করিবেন; অথবা
(খ) তামাদির বিষয়ে অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন (ক) দফায় নির্ধারিত সময় সীমা অতিক্রান্ত হইবার পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে চুক্তিপত্রের (বায়না) সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ উহা বলবত্ অথবা বাতিল করণার্থে মামলা দায়ের করিবেন, ব্যর্থতায় চুক্তি বাতিল হইবে ।
উপধারা-(২) ১৭ (ক) কার্যকর হওয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের নিমিত্তে সম্পাদিত বিক্রয় চুক্তির (বায়নার) ভিত্তিতে দেওয়ানী আদালতে কোনো মামলা দায়ের হইয়া থাকিলে উপধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।
ধারা-১৮ ( যে সমস্ত দলিলপত্রের রেজিস্ট্রিকরণ ঐচ্ছিক )
১৭ ধারা অনুসারে যে সকল দলিলপত্র রেজিস্ট্রিযোগ্য নহে, অত্র আইন অনুসারে সেই সকল দলিল ও রেজিস্ট্রি করা যাইতে পারে ।
ধারা-১৯ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের অবোধ্য ভাষার দলিলপত্র)
যদি রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের অবোধ্য ভাষায় লিখিত বা জিলায় সচরাচর ব্যবহৃত নয় এইরূপ কোনো ভাষায় লিখিত কোনো দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য উপস্থিত করা হয় এবং জিলায় সচরাচর ব্যবহৃত ভাষায় উক্ত দলিলের হুবহু অনুবাদ এবং একটি হুবহু নকলও ঐ দলিলের সঙ্গে না থাকে, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিবেন ।
ধারা-২০ (অন্তবতী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা লেখা কিংবা পরিবর্তন সম্বলিত দলিল)
উপধারা-(১) যদি কোনো দলিলে অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা কিংবা কোনো রকম পরিবর্তন থাকে এবং দলিল সম্পাদনকারী উক্ত অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা লেখা অথবা পরিবর্তন তাঁহার নিজের দস্তখত দ্বারা এস্টেস্ট না করেন, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার তাঁহার ইচ্ছানুযায়ী দলিলটি রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারেন ।
উপধারা-(২) যদি কোনো রেজিস্ট্রি অফিসার ঐরূপ কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন, তবে রেজিস্ট্রিকরণের সময় উক্ত অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া ফেলা লেখা এবং পরিবর্তন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন ।
ধারা-২১ (সম্পত্তি ও মানচিত্র বা পরিকল্পনার বিবরণ)
উপধারা-(১) উইল ছাড়া স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত অন্য কোনো প্রকার দলিলে যদি উপযুক্তরূপে সম্পত্তিটি সনাক্ত করিবার জন্য সম্পত্তির বিবরণ না থাকে, তবে উহা রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করা হইবে না ।
উপধারা-(২) শহরের অবস্থিত ঘরবাড়ির ক্ষেত্রে উহার সম্মুখে যেই রাস্তা বা গলি (নির্দিষ্ট করিতে হইবে) অবস্থিত ঐ রাস্তা বা গলির উত্তরে কিংবা অন্য কোনো দিকে এবং উহার বর্তমান এবং অতীত দখলকার এবং যদি ঐ রাস্তা বা গলিতে অবস্থিত ঘরবাড়িসমুহে নম্বরের ব্যবস্থা থাকে তবে উহার নম্বর দ্বারা বর্ণিত করিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) অন্যান্য ঘরবাড়ি এবং জমির ক্ষেত্রে উহার নাম, যদি কিছু থাকে, কোনো এলাকায় অবস্থিত এবং উহাতে অবস্থিত অতিরিক্ত কোনো জিনিস, রাস্তা এবং অন্য কোনো সরকারি ম্যাপ বা সার্ভে মারফত বর্ণনা করিতে হইবে ।
উপধারা-(৪) উইল ছাড়া কোনো সম্পত্তির নকশা বা পরিকল্পনা সম্বলিত অন্য প্রকারের দলিলের সহিত যদি উক্ত নকশা বা পরিকল্পনার হুবহু একটি নকল, অথবা যদি ঐ সম্পত্তি বিভিন্ন জিলায় অবস্থিত হয়, তবে যতগুলি জিলায় উহা অবস্থিত, উক্ত নকশা বা পরিকল্পনা ততগুলি নকল যদি না থাকে, তবে দলিলটি রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করা হইবে না ।
ধারা-২২ (সরকারি মানচিত্র বা জরীপের উল্লেখক্রমে গৃহ এবং জমির বিবরণ)
উপধারা-(১) যখন সরকারের মতে শহরে অবস্থিত ঘরবাড়ি ছাড়াও অন্যান্য ঘরবাড়ির বর্ণনা সরকারি নকশা বা জরীপের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব, তখন সরকার ২১ ধারাতে উদ্দেশ্যাবলীর জন্য এই আইনের এই মর্মে বিধি প্রণয়ন করিতে পারে যে, ঐ সমস্ত ঘরবাড়ির এবং জমি উপরিউক্ত ভাবে বর্ণিত হইতে হইবে ।
উপধারা-(২) (১) উপধারা অনুযায়ী প্রণিত কোনো বিধি দ্বারা যদি অন্য কোনো প্রকার শর্ত আরোপিত না হয়, তবে কেবল ২১ ধারার (২) বা (৩) উপ-ধারার শর্তাবলী অপূরণের জন্যই কোন দলিল রেজিস্ট্রিকৃত হইবার অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে না, যদি উক্ত দলিলের বর্ণনা হইতে ঐ দলিল সম্পর্কিত উপযুক্তভাবে সনাক্ত করা যায় ।
ধারা-২২ক (হস্তান্তর দলিল)
উপধারা-(১) অত্র আইনের বিধান মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রিযোগ্য যে কোনো দলিলে পক্ষগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলনের জন্য প্রয়েজনীয় তথ্যাদি, সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ এবং হস্তান্তরের প্রকৃতি অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
উপধারা-(১) দাতা ও গ্রহিতাগণের ছবি আঠা দ্বারা দলিলের প্রথম পাতায় আটকাইয়া দিতে হইবে, এবং উহার উপর আড়াআড়িভাবে পক্ষগণের নিজ নিজ দস্তখত এবং বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলির টিপ প্রদান করিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) রেজিস্ট্রেশন (সংশোধনী আইন), ২০০৪ কার্যকর হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকার দলিলের নমুনা ফরম (গঠন ও আকার) নির্ধারণক্রমে উহা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করিবেন ।২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
চতুর্থ খণ্ড
দলিল দাখিল করিবার সময় সম্পর্কে
২৪, ২৫ এবং ২৬ ধারা শর্তাবলী সাপেক্ষে উইল ছাড়া অন্য কোনো দলিল যদি উহার সম্পাদনের তারিখ হইতে ৩ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করিবার উদ্দেশ্যে সঠিক অফিসারের নিকট দাখিল করা না হয়, তবে উহা আর রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করা হইবে না ।
তবে কোনো ডিক্রী বা হুকুমনামার নকল উক্ত ডিক্রি বা হুকুমনামা প্রদানের তারিখ হইতে ৩ মাসের মধ্যে দাখিল করা চলিবে, অথবা যখন উহা ঊর্ধ্বতন কোর্টে আপিলযোগ্য তখন চূড়ান্ত ডিক্রি বা হুকুমনামা প্রদানের তারিখ হইতে ৩ মাসের মধ্যে দাখিল করা যাইতে পারে ।২০০৪ সালের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
ধারা-২৩-ক (কতিপয় দলিলের পুনঃরেজিস্ট্রিকরণ)
এই আইনে বিপরীত কোনো কিছু থাকা সত্বেও যদি কোনো ক্ষেত্রে দলিল দাখিল করিবার ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রিকরণ-যোগ্য কোনো দলিল রেজিস্ট্রির জন্য কোনো রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করে এবং উক্ত দলিল রেজিস্ট্রিকৃত হয়, তবে ঐ দলিলে দাবিদার এমন কোনো ব্যক্তি দলিল রেজিস্ট্রিকরণের অবৈধতা সম্পর্কে সর্বপ্রথম জ্ঞাত হইবার পর ৪ মাসের মধ্যে ষষ্ঠ পরিচ্ছেদের শর্তাবলী অনুযায়ী জিলার যেই রেজিস্ট্রারের অফিসে দলিলটি প্রথম রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছিল ঐ রেজিস্ট্রারের অফিসে পুনরায় রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করিতে বা দাখিল করাইতে পারেন এবং রেজিস্ট্রার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, দলিলটি দাখিল করিবার প্রকৃত ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে দলিলটি রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গৃহীত হইয়াছিল, তবে তিনি দলিলটির পুনঃরেজিস্ট্রিকরণের ব্যাপারে এইরূপভাবে অগ্রসর হইবেন যেন উহা পূর্বে কোনো সময় রেজিস্ট্রিকৃত হয় নাই এবং যেন পুনঃরেজিস্ট্রিকরণের জন্য দলিলের উক্ত উপস্থাপন চতুর্থ পরিচ্ছেদ দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল করিবার অনুমোদিত সময়ের মধ্যেই হইয়াছে এবং দলিল রেজিস্ট্রিকরণ সম্পর্কিত এই আইনের সকল শর্ত উক্ত পুনঃরেজিস্ট্রিকরণে প্রযোজ্য হইবে এবং উক্ত দলিল যদি এই ধারার শর্তাবলী অনুযায়ী উপযুক্তরূপে পুনরায় রেজিস্ট্রিকৃত হয় তবে উহা সব ব্যাপারেই উহার প্রথম রেজিস্ট্রিকরণের তারিখেই উপযুক্তরূপে রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
তবে এই ধারা প্রযোজ্য হয় এমন কোনো দলিলের দাবিদার ১৯১৭ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর হইতে ৩ মাসের মধ্যে এই ধারানুযায়ী পুনঃরেজিস্ট্রিকরণের জন্য কোনো দলিল দাখিল করিতে বা করাইতে পারেন, দলিল রেজিস্ট্রিকরণের অবৈধতা সম্পর্কে তাহার সর্বপ্রথম জ্ঞাত হইবার সময় যাহাই হউক না কেন।
ধারা-২৪ (বিভিন্ন সময়ে কতিপয় লোক দ্বারা সম্পাদিত দলিল)
যেই স্থলে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে কোনো দলিল সম্পাদন করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত দলিল রেজিস্ট্রিকরণ এবং পুনরেজিস্ট্রিকরণের জন্য প্রত্যেক সম্পাদনের তারিখ হইতে ৪ মাসের মধ্যে দলিল করিতে হইবে।
ধারা-২৫ (অপরিহার্য কারণে দলিলে বিলম্বের জন্য বিধান)
উপধারা-(১) দেশে সম্পাদিত কোনো দলিল বা প্রদত্ত কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামার নকল যদি কোনো অত্যাবশ্যক কাজ বা কোনো অপরিহার্য দূর্ঘটনার জন্য উপরিউক্ত নির্ধারিত সময় উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে রেজিস্ট্রি করিবার জন্য দাখিল করা না হয় এবং দলিল করিতে যদি ৪ মাসের অধিক বিলম্ব না হয়, রেজিস্ট্রিকরণ ফিসের অনুর্ধ্ব ১০ গুণ টাকা জামানতস্বরূপ প্রদত্ত হইলে রেজিস্ট্রার উক্ত দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করিতে নির্দেশ দিতে পারেন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস