Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কেন্দ্রীয় কারাগার
স্থান

আজ কেরানীগঞ্জে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ঢাকা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত এ কারাগার প্রাঙ্গণে সকাল দশটায় শুরু হচ্ছে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবনির্মিত কারাগারটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপর অতিথিদের নিয়ে তিনি কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখবেন। এ উপলক্ষে আগেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামখচিত উদ্বোধনী ফলক। এদিকে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার পথ কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে এলাকা। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৩০টি তোরণ। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কারাগারের ভেতরে ও বাইরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধনের পর কোনো এক ছুটির দিন দেখে বন্দিদের কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়া হবে।  

যা যা থাকছে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে: কেবল দেশের সবচেয়ে আধুনিক নয়, এশিয়ার মধ্যেও কেরানীগঞ্জের এ কারাগার একটি অন্যতম আধুনিক কারাগার। প্রথম দফায় পুরুষ কারাগার-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর পৃথক কারাভবনগুলোর নাম দেয়া হয়েছে পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, বকুল, শাপলা ও চম্পাকলি। উদ্বোধনের পর সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি এখানে স্থানান্তরিত হবে। বৃটিশ শাসনামলে তৈরি লাল ভবনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের সাদা কারাভবনে নতুন ঠিকানা হবে বন্দিদের। দেশের বুক চিরে বয়ে চলা ওই নদীগুলোর নামের কারাভবনগুলোতে তাদের রাখা হয়েছে। তবে ৪ হাজার ৫৯০ জনের ধারণক্ষমতার এই কারাগারে প্রায় ৮ হাজার বন্দি রাখা হবে। নারী কারাগারটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তাদেরকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হবে। কারাগারটির কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এই কারাগারে একই ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পুরুষ কারাগার নির্মাণ করা হবে।

এটি কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর ও পশ্চিমদি মৌজায় স্থাপিত হয়েছে।  কারাগারের ব্যয় ধরা হয়েছে  ৪০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১৯৪ একর জায়গার উপর স্থাপিত কারাগারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। প্রধান সড়ক থেকে কারাগারের প্রধান ফটক প্রায় দু’শ গজ ভেতরে স্থাপিত হয়েছে। ফটকের বাঁপাশে রিজার্ভ গার্ড হাউজ, এর বাঁয়ে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ ভবন। প্রধান ফটক দিয়ে ফটকের পাশে রয়েছে জেলারের অফিস কক্ষ। প্রধান ফটকের ডান দিকে পদ্মা, এর দক্ষিণে যমুনা ও তারপর মেঘনা। ভবনগুলোতে হাজতিদের রাখা হবে। আরও দু’ভবনে হবে কয়েদিদের ঠিকানা। ভবনগুলোর প্রতি তলায় রয়েছে ৪০টি করে কক্ষ। প্রতিকক্ষে রাখা হবে ১৩ জন করে বন্দি। প্রতিকক্ষে ৪টি ফ্যান থাকছে। পাশেই বাথরুম। চারশ’ দুর্ধর্ষ আসামির জন্য চারটি চারতলা ভবন বনফুল, বকুল, শাপলা ও সূর্যমুখী’তে তৈরি হয়েছে ডেঞ্জার সেল। ১৬ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত ভিআইপি বন্দিদের জন্য ১৬টি বিশেষ কারাকক্ষ প্রস্তুত থাকছে। মেঘনার পূর্বপাশের চম্পাকলি ভবনে ভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে। এর উত্তরে সুরমাতে ঠাঁই হবে কিশোর অপরাধীদের। কিশোর অপরাধীদের কাশিমপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের এই ভবনে রাখা হবে। আর হাজতিদের রাখা হবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, করতোয়া ও মণিহারে। কয়েদিদের স্থান হবে মধুমতি ও রূপসায়। কারাগারের দক্ষিণ অংশের সীমানা প্রাচীরের কাছে বনফুলের সীমানার মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। দক্ষিণমুখী ফাঁসির মঞ্চটিতে একই সঙ্গে দুটো ফাঁসি কার্যকরের সুযোগ থাকছে।
এই চার কারাভবন ঘিরে আছে ১৮ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর। এর উপরে দুই ফুট বৈদ্যুতিক তারের সেন্সর। তাছাড়া, প্রতিটি ভবন ঘিরে রয়েছে আলাদা প্রাচীর। কোনো আসামি ১৮ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করলেও এ সময় তারের স্পর্শে আসলে নিরাপত্তা ঘণ্টা বেজে উঠবে। শিকার হবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের। শুধু তাই নয়, কারাগারের ভেতরে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার সুযোগও নেই। এছাড়া কারাভ্যন্তরে থাকছে কারাস্কুল ও লাইব্রেরি। থাকছে মানসিক বন্দিদের জন্য জলসিঁড়ি। অন্তত ৮ রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম এমআই ইউনিট ভবন। থাকছে সুপরিসর খালি জায়গায় কেস টেবিল শেড। সেখান থেকেই আসামিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে ও তাদের অপরাধের সাময়িক বিচারকাজ চালানো হবে। থাকছে সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারের চারপাশে রয়েছে ৪০ ফুট উঁচু চারটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৪০০ কারারক্ষীর থাকার জন্য রয়েছে ৯৬ কক্ষের কারা ব্যারাক দুর্জয়। রয়েছে কারাকর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন। তৈরি হচ্ছে ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ১৭টি ভবন। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটও তৈরি হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে উচ্ছ্বাস: কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একে একে ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে যাচ্ছেন।  তৈরি করছেন তোরণ। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত প্রায় ৩০টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেরানীগঞ্জে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। কারাগারটি উদ্বোধন হলে কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে।

কিভাবে যাওয়া যায়

আজ কেরানীগঞ্জে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ঢাকা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত এ কারাগার প্রাঙ্গণে সকাল দশটায় শুরু হচ্ছে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবনির্মিত কারাগারটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপর অতিথিদের নিয়ে তিনি কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখবেন। এ উপলক্ষে আগেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামখচিত উদ্বোধনী ফলক। এদিকে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার পথ কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে এলাকা। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৩০টি তোরণ। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কারাগারের ভেতরে ও বাইরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধনের পর কোনো এক ছুটির দিন দেখে বন্দিদের কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়া হবে।  

যা যা থাকছে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে: কেবল দেশের সবচেয়ে আধুনিক নয়, এশিয়ার মধ্যেও কেরানীগঞ্জের এ কারাগার একটি অন্যতম আধুনিক কারাগার। প্রথম দফায় পুরুষ কারাগার-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর পৃথক কারাভবনগুলোর নাম দেয়া হয়েছে পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, বকুল, শাপলা ও চম্পাকলি। উদ্বোধনের পর সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি এখানে স্থানান্তরিত হবে। বৃটিশ শাসনামলে তৈরি লাল ভবনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের সাদা কারাভবনে নতুন ঠিকানা হবে বন্দিদের। দেশের বুক চিরে বয়ে চলা ওই নদীগুলোর নামের কারাভবনগুলোতে তাদের রাখা হয়েছে। তবে ৪ হাজার ৫৯০ জনের ধারণক্ষমতার এই কারাগারে প্রায় ৮ হাজার বন্দি রাখা হবে। নারী কারাগারটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তাদেরকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হবে। কারাগারটির কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এই কারাগারে একই ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পুরুষ কারাগার নির্মাণ করা হবে।

এটি কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর ও পশ্চিমদি মৌজায় স্থাপিত হয়েছে।  কারাগারের ব্যয় ধরা হয়েছে  ৪০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১৯৪ একর জায়গার উপর স্থাপিত কারাগারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। প্রধান সড়ক থেকে কারাগারের প্রধান ফটক প্রায় দু’শ গজ ভেতরে স্থাপিত হয়েছে। ফটকের বাঁপাশে রিজার্ভ গার্ড হাউজ, এর বাঁয়ে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ ভবন। প্রধান ফটক দিয়ে ফটকের পাশে রয়েছে জেলারের অফিস কক্ষ। প্রধান ফটকের ডান দিকে পদ্মা, এর দক্ষিণে যমুনা ও তারপর মেঘনা। ভবনগুলোতে হাজতিদের রাখা হবে। আরও দু’ভবনে হবে কয়েদিদের ঠিকানা। ভবনগুলোর প্রতি তলায় রয়েছে ৪০টি করে কক্ষ। প্রতিকক্ষে রাখা হবে ১৩ জন করে বন্দি। প্রতিকক্ষে ৪টি ফ্যান থাকছে। পাশেই বাথরুম। চারশ’ দুর্ধর্ষ আসামির জন্য চারটি চারতলা ভবন বনফুল, বকুল, শাপলা ও সূর্যমুখী’তে তৈরি হয়েছে ডেঞ্জার সেল। ১৬ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত ভিআইপি বন্দিদের জন্য ১৬টি বিশেষ কারাকক্ষ প্রস্তুত থাকছে। মেঘনার পূর্বপাশের চম্পাকলি ভবনে ভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে। এর উত্তরে সুরমাতে ঠাঁই হবে কিশোর অপরাধীদের। কিশোর অপরাধীদের কাশিমপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের এই ভবনে রাখা হবে। আর হাজতিদের রাখা হবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, করতোয়া ও মণিহারে। কয়েদিদের স্থান হবে মধুমতি ও রূপসায়। কারাগারের দক্ষিণ অংশের সীমানা প্রাচীরের কাছে বনফুলের সীমানার মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। দক্ষিণমুখী ফাঁসির মঞ্চটিতে একই সঙ্গে দুটো ফাঁসি কার্যকরের সুযোগ থাকছে।
এই চার কারাভবন ঘিরে আছে ১৮ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর। এর উপরে দুই ফুট বৈদ্যুতিক তারের সেন্সর। তাছাড়া, প্রতিটি ভবন ঘিরে রয়েছে আলাদা প্রাচীর। কোনো আসামি ১৮ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করলেও এ সময় তারের স্পর্শে আসলে নিরাপত্তা ঘণ্টা বেজে উঠবে। শিকার হবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের। শুধু তাই নয়, কারাগারের ভেতরে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার সুযোগও নেই। এছাড়া কারাভ্যন্তরে থাকছে কারাস্কুল ও লাইব্রেরি। থাকছে মানসিক বন্দিদের জন্য জলসিঁড়ি। অন্তত ৮ রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম এমআই ইউনিট ভবন। থাকছে সুপরিসর খালি জায়গায় কেস টেবিল শেড। সেখান থেকেই আসামিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে ও তাদের অপরাধের সাময়িক বিচারকাজ চালানো হবে। থাকছে সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারের চারপাশে রয়েছে ৪০ ফুট উঁচু চারটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৪০০ কারারক্ষীর থাকার জন্য রয়েছে ৯৬ কক্ষের কারা ব্যারাক দুর্জয়। রয়েছে কারাকর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন। তৈরি হচ্ছে ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ১৭টি ভবন। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটও তৈরি হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে উচ্ছ্বাস: কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একে একে ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে যাচ্ছেন।  তৈরি করছেন তোরণ। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত প্রায় ৩০টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেরানীগঞ্জে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। কারাগারটি উদ্বোধন হলে কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে।

যোগাযোগ

আজ কেরানীগঞ্জে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ঢাকা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত এ কারাগার প্রাঙ্গণে সকাল দশটায় শুরু হচ্ছে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবনির্মিত কারাগারটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপর অতিথিদের নিয়ে তিনি কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখবেন। এ উপলক্ষে আগেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামখচিত উদ্বোধনী ফলক। এদিকে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার পথ কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে এলাকা। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৩০টি তোরণ। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কারাগারের ভেতরে ও বাইরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধনের পর কোনো এক ছুটির দিন দেখে বন্দিদের কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়া হবে।  

যা যা থাকছে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে: কেবল দেশের সবচেয়ে আধুনিক নয়, এশিয়ার মধ্যেও কেরানীগঞ্জের এ কারাগার একটি অন্যতম আধুনিক কারাগার। প্রথম দফায় পুরুষ কারাগার-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর পৃথক কারাভবনগুলোর নাম দেয়া হয়েছে পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, বকুল, শাপলা ও চম্পাকলি। উদ্বোধনের পর সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি এখানে স্থানান্তরিত হবে। বৃটিশ শাসনামলে তৈরি লাল ভবনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের সাদা কারাভবনে নতুন ঠিকানা হবে বন্দিদের। দেশের বুক চিরে বয়ে চলা ওই নদীগুলোর নামের কারাভবনগুলোতে তাদের রাখা হয়েছে। তবে ৪ হাজার ৫৯০ জনের ধারণক্ষমতার এই কারাগারে প্রায় ৮ হাজার বন্দি রাখা হবে। নারী কারাগারটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তাদেরকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হবে। কারাগারটির কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এই কারাগারে একই ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পুরুষ কারাগার নির্মাণ করা হবে।

এটি কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর ও পশ্চিমদি মৌজায় স্থাপিত হয়েছে।  কারাগারের ব্যয় ধরা হয়েছে  ৪০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১৯৪ একর জায়গার উপর স্থাপিত কারাগারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। প্রধান সড়ক থেকে কারাগারের প্রধান ফটক প্রায় দু’শ গজ ভেতরে স্থাপিত হয়েছে। ফটকের বাঁপাশে রিজার্ভ গার্ড হাউজ, এর বাঁয়ে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ ভবন। প্রধান ফটক দিয়ে ফটকের পাশে রয়েছে জেলারের অফিস কক্ষ। প্রধান ফটকের ডান দিকে পদ্মা, এর দক্ষিণে যমুনা ও তারপর মেঘনা। ভবনগুলোতে হাজতিদের রাখা হবে। আরও দু’ভবনে হবে কয়েদিদের ঠিকানা। ভবনগুলোর প্রতি তলায় রয়েছে ৪০টি করে কক্ষ। প্রতিকক্ষে রাখা হবে ১৩ জন করে বন্দি। প্রতিকক্ষে ৪টি ফ্যান থাকছে। পাশেই বাথরুম। চারশ’ দুর্ধর্ষ আসামির জন্য চারটি চারতলা ভবন বনফুল, বকুল, শাপলা ও সূর্যমুখী’তে তৈরি হয়েছে ডেঞ্জার সেল। ১৬ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত ভিআইপি বন্দিদের জন্য ১৬টি বিশেষ কারাকক্ষ প্রস্তুত থাকছে। মেঘনার পূর্বপাশের চম্পাকলি ভবনে ভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে। এর উত্তরে সুরমাতে ঠাঁই হবে কিশোর অপরাধীদের। কিশোর অপরাধীদের কাশিমপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের এই ভবনে রাখা হবে। আর হাজতিদের রাখা হবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, করতোয়া ও মণিহারে। কয়েদিদের স্থান হবে মধুমতি ও রূপসায়। কারাগারের দক্ষিণ অংশের সীমানা প্রাচীরের কাছে বনফুলের সীমানার মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। দক্ষিণমুখী ফাঁসির মঞ্চটিতে একই সঙ্গে দুটো ফাঁসি কার্যকরের সুযোগ থাকছে।
এই চার কারাভবন ঘিরে আছে ১৮ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর। এর উপরে দুই ফুট বৈদ্যুতিক তারের সেন্সর। তাছাড়া, প্রতিটি ভবন ঘিরে রয়েছে আলাদা প্রাচীর। কোনো আসামি ১৮ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করলেও এ সময় তারের স্পর্শে আসলে নিরাপত্তা ঘণ্টা বেজে উঠবে। শিকার হবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের। শুধু তাই নয়, কারাগারের ভেতরে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার সুযোগও নেই। এছাড়া কারাভ্যন্তরে থাকছে কারাস্কুল ও লাইব্রেরি। থাকছে মানসিক বন্দিদের জন্য জলসিঁড়ি। অন্তত ৮ রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম এমআই ইউনিট ভবন। থাকছে সুপরিসর খালি জায়গায় কেস টেবিল শেড। সেখান থেকেই আসামিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে ও তাদের অপরাধের সাময়িক বিচারকাজ চালানো হবে। থাকছে সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারের চারপাশে রয়েছে ৪০ ফুট উঁচু চারটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৪০০ কারারক্ষীর থাকার জন্য রয়েছে ৯৬ কক্ষের কারা ব্যারাক দুর্জয়। রয়েছে কারাকর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন। তৈরি হচ্ছে ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ১৭টি ভবন। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটও তৈরি হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে উচ্ছ্বাস: কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একে একে ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে যাচ্ছেন।  তৈরি করছেন তোরণ। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত প্রায় ৩০টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেরানীগঞ্জে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। কারাগারটি উদ্বোধন হলে কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে।

বিস্তারিত

আজ কেরানীগঞ্জে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ঢাকা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত এ কারাগার প্রাঙ্গণে সকাল দশটায় শুরু হচ্ছে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নবনির্মিত কারাগারটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এরপর অতিথিদের নিয়ে তিনি কারাগারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখবেন। এ উপলক্ষে আগেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন। বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামখচিত উদ্বোধনী ফলক। এদিকে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার পথ কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে এলাকা। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ৩০টি তোরণ। কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, কারাগারের ভেতরে ও বাইরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধনের পর কোনো এক ছুটির দিন দেখে বন্দিদের কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়া হবে।  

যা যা থাকছে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে: কেবল দেশের সবচেয়ে আধুনিক নয়, এশিয়ার মধ্যেও কেরানীগঞ্জের এ কারাগার একটি অন্যতম আধুনিক কারাগার। প্রথম দফায় পুরুষ কারাগার-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর পৃথক কারাভবনগুলোর নাম দেয়া হয়েছে পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, বকুল, শাপলা ও চম্পাকলি। উদ্বোধনের পর সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি এখানে স্থানান্তরিত হবে। বৃটিশ শাসনামলে তৈরি লাল ভবনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের সাদা কারাভবনে নতুন ঠিকানা হবে বন্দিদের। দেশের বুক চিরে বয়ে চলা ওই নদীগুলোর নামের কারাভবনগুলোতে তাদের রাখা হয়েছে। তবে ৪ হাজার ৫৯০ জনের ধারণক্ষমতার এই কারাগারে প্রায় ৮ হাজার বন্দি রাখা হবে। নারী কারাগারটির নির্মাণকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তাদেরকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হবে। কারাগারটির কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এই কারাগারে একই ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পুরুষ কারাগার নির্মাণ করা হবে।

এটি কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর ও পশ্চিমদি মৌজায় স্থাপিত হয়েছে।  কারাগারের ব্যয় ধরা হয়েছে  ৪০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ১৯৪ একর জায়গার উপর স্থাপিত কারাগারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। প্রধান সড়ক থেকে কারাগারের প্রধান ফটক প্রায় দু’শ গজ ভেতরে স্থাপিত হয়েছে। ফটকের বাঁপাশে রিজার্ভ গার্ড হাউজ, এর বাঁয়ে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ ভবন। প্রধান ফটক দিয়ে ফটকের পাশে রয়েছে জেলারের অফিস কক্ষ। প্রধান ফটকের ডান দিকে পদ্মা, এর দক্ষিণে যমুনা ও তারপর মেঘনা। ভবনগুলোতে হাজতিদের রাখা হবে। আরও দু’ভবনে হবে কয়েদিদের ঠিকানা। ভবনগুলোর প্রতি তলায় রয়েছে ৪০টি করে কক্ষ। প্রতিকক্ষে রাখা হবে ১৩ জন করে বন্দি। প্রতিকক্ষে ৪টি ফ্যান থাকছে। পাশেই বাথরুম। চারশ’ দুর্ধর্ষ আসামির জন্য চারটি চারতলা ভবন বনফুল, বকুল, শাপলা ও সূর্যমুখী’তে তৈরি হয়েছে ডেঞ্জার সেল। ১৬ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত ভিআইপি বন্দিদের জন্য ১৬টি বিশেষ কারাকক্ষ প্রস্তুত থাকছে। মেঘনার পূর্বপাশের চম্পাকলি ভবনে ভিআইপি বন্দিদের রাখা হবে। এর উত্তরে সুরমাতে ঠাঁই হবে কিশোর অপরাধীদের। কিশোর অপরাধীদের কাশিমপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হলেও ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের এই ভবনে রাখা হবে। আর হাজতিদের রাখা হবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, করতোয়া ও মণিহারে। কয়েদিদের স্থান হবে মধুমতি ও রূপসায়। কারাগারের দক্ষিণ অংশের সীমানা প্রাচীরের কাছে বনফুলের সীমানার মধ্যে স্থাপিত হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। দক্ষিণমুখী ফাঁসির মঞ্চটিতে একই সঙ্গে দুটো ফাঁসি কার্যকরের সুযোগ থাকছে।
এই চার কারাভবন ঘিরে আছে ১৮ ফুট উঁচু সীমানা প্রাচীর। এর উপরে দুই ফুট বৈদ্যুতিক তারের সেন্সর। তাছাড়া, প্রতিটি ভবন ঘিরে রয়েছে আলাদা প্রাচীর। কোনো আসামি ১৮ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করলেও এ সময় তারের স্পর্শে আসলে নিরাপত্তা ঘণ্টা বেজে উঠবে। শিকার হবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের। শুধু তাই নয়, কারাগারের ভেতরে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার সুযোগও নেই। এছাড়া কারাভ্যন্তরে থাকছে কারাস্কুল ও লাইব্রেরি। থাকছে মানসিক বন্দিদের জন্য জলসিঁড়ি। অন্তত ৮ রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম এমআই ইউনিট ভবন। থাকছে সুপরিসর খালি জায়গায় কেস টেবিল শেড। সেখান থেকেই আসামিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে ও তাদের অপরাধের সাময়িক বিচারকাজ চালানো হবে। থাকছে সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারের চারপাশে রয়েছে ৪০ ফুট উঁচু চারটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৪০০ কারারক্ষীর থাকার জন্য রয়েছে ৯৬ কক্ষের কারা ব্যারাক দুর্জয়। রয়েছে কারাকর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন। তৈরি হচ্ছে ৬০০ বর্গফুট আয়তনের ১৭টি ভবন। এছাড়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটও তৈরি হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে উচ্ছ্বাস: কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কদমতলী গোলচত্বর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একে একে ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়ে যাচ্ছেন।  তৈরি করছেন তোরণ। কদমতলী থেকে রাজেন্দ্রপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত প্রায় ৩০টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেরানীগঞ্জে কারাগার উদ্বোধন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। কারাগারটি উদ্বোধন হলে কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে।